
দিব্যেন্দু গোস্বামী
বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ
অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই এর হেফাজতে থাকাকালীন বীরভূমের পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত হয়েছিল। এবার অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের বাড়িতে আসার পরপরই বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। যদিও সূত্রের খবর একদিকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূল কংগ্রেসের কাজল শেখ এবং অনুব্রত মন্ডলের মধ্যে দন্দ চিরকালীন। যতই এরা নিজেদেরকে সহকর্মী হিসাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করুক না কেন আসল ঘটনা বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের সময়ে যে পরিমাণ আসন জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তার থেকেও আরও ভালো ফল হয়েছিল শেখ কাজলের হাত ধরে। তাই কাজল শেখের ঘনিষ্ঠরা অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে, যার ফলে বারবার বিভিন্ন গ্রামের মধ্যে ঘটে চলেছে প্রকাশ্যে বোমাবাজি থেকে খুন। সবই একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে নেতারা তো উঁচুতেই থাকবেন। কিন্তু নিচের তলার কর্মীদেরকে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বা আচরণ করার পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে নির্মম ভাবে। বোমা, বারুদ, পিস্তল, গুলি এখন শাসক দলের হাতে। গত এক মাসের মধ্যে তৃণমূল মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৫ ছুঁয়ে গিয়েছে। এরপরেও হোস ফেরেনি প্রশাসনের। জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিলেও অদৃশ্য কোন হাত তাদেরকে গ্রেফতার করতে দিচ্ছে না। এই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিরোধীদল বিজেপি। কিন্তু প্রশ্ন একটাই আর কতদিন মার খাবে সাধারণ মানুষ? বীরভূম সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও আরম্ভ হয়েছে তৃণমূলের এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীকে মারার ষড়যন্ত্র। সূত্রের খবর তারা যেভাবে আক্রমণ করছে এবং হত্যা করছে তাতে বীরভূম বারবার উত্তপ্ত হয়েছে। বোমাবারুদের খেলায় এক নাম্বারে ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে বীরভূম। পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও চার্জশিটে লঘু করে দেখানো হচ্ছে। সেই সমস্ত তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নিজেদের লড়াইয়ে মরতে হচ্ছে ওই সমস্ত সাধারণ মানুষকে। নানুর থেকে বরগুনা কাকরতলা থেকে মল্লারপুর সমস্ত জায়গায় চলছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সে কথায় প্রকাশ করেছেন নিহতদের আত্মীয় পরিজনরা।